ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব জামগড়া রূপায়ণ ১ নম্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন রোজিনা আক্তার ও তার ৯ বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। আর আত্মঘাতী ব্যক্তির নাম সবুর আলী। পেশায় তিনি রিকশাচালক।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, রোজিনা পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। নিজের টাকা দিয়ে স্বামীকে একটি রিকশা কিনে দেন। দুদিন পর সেই রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। এর পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। এর জেরে হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
রোজিনা আক্তার ও তার স্বামী সবুর আলীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলায়। তাদের শিশুকন্যাটি আশুলিয়ায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।
নিহতের বোন রাশেদা আক্তার জানান, অটোরিকশাটি কেনার পর গত বুধবার প্রথম রাস্তায় বের হন সবুর আলী। পরে সেটি চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়ার বিষয়টি ভয়ে স্ত্রীকে জানাননি তিনি। পর দিন বিষয়টি টের পায় রোজিনা। এর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়। এ ঘটনা কেন্দ্র করে সবুর স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যার পর নিজে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুদিন ঘরের দরজা বন্ধ দেখে এবং তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে প্রতিবেশীর ঘরের বাঁশের সিলিংয়ের ফাঁক দিয়ে সবুরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই আল মামুন কবির জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন সবুর। ঘটনাটি দুদিন আগে হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
97 total views, 2 views today
Leave a Reply