হুমায়ুন কবির, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের চৌদ্দশত ইউনিয়নের নান্দলা গ্রামে নিজ জমিতে মাটি কাটার বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের তুমুল ঝগড়া হয়।
০৫ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) বাড়ির পাশে নিজ জমিতেই মাটি কাটছিলেন মো: লতিব খন্দকার (৫৫) ও খায়রুল খন্দকার (২৮). এসময় বাপ্পি ওরফে ফয়সাল খন্দকার (৩৩), মো: সাব্বির খন্দকার (২৫), মো: আশিক খন্দকার (২৩) এবং মোছা: সাবিনা আক্তার (৪৫) সহ আরো ৪/৫ জন দলবদ্ধ হয়ে তাদের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। তাতে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের মারাত্নকভাবে জখম করে। খায়রুলের মাথা, পেটে এবং হাতে অনেক জখম করে। চিতকার শুনে সেখানে খায়রুল খন্দকারের মা মোছা: বেগম (৫৫) গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপানো হয়৷ তাতে তার হাতের এক আঙ্গুল প্রায় কেটেয় যাই। তারা বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, তারা এখন কিছুটা সুস্থ্য হলেও দায়ের কুপের কাটা এবং আঙ্গুল ভালো হতে অনেকটা সময় লাগবে।
০৮ জানুয়ারী (শুক্রবার) মোছা: বেগমের আঙ্গুলে রড প্রবেশ করানো হয়েছে। উক্ত ঘটনা কেন্দ্র করে দিশারিয়ান মো: মিজান খন্দকার (২৫) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই ভিত্তিতে তদন্তের জন্য দৈনিক আইন আদালত প্রতিদিন, দৈনিক আস্থা কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও দিশারিয়ান হুমায়ুন কবির, দৈনিক আস্থা- কিশোরগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও দিশারিয়ান রায়হান জামান থানায় গেলে সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামল জানান, বিবাদীর পক্ষে খন্দকার এবি সিদ্দিক নামের একজন পালটা অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি ১৩ জনের নাম উল্লেখ করিয়া আসামী করেন। আরো উল্লেখ করেন, খায়রুল খন্দকারের আক্রমনে মোছা: সাবিনা আক্তার (৪৫) গুরুতর আহত হন এবং তার বাম হাতে মারাত্মকভাবে জখম করে। তিনি এখন কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সরেজমিনে সেখানে গিয়েও দেখা যায়, তিনি হাসপাতাল বিছানায় আছেন এবং তার বাম হাত কিছুটা ফুলে আছে। তাদের কাছে হাতের এক্সরে রিপোর্ট চাইলে তা তারা দেখাতে পারে নাই। বাদী বিবাদীর সমাধানে এস.আই শ্যামল জানান, যেহেতু দু’পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাই আমরা চায় তারা সেটা নিজেদের মধ্যে পারিবারিক বা সামাজিক সালিশের মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ায় উত্তম। এই ব্যাপারে প্রথম অভিযোগের বাদী মিজান জানান, আমাদের তাতে কোন সমস্যা নাই। তবে সেই সালিশে অত্র এলাকার ব্যাতিত অন্য কেও না থাকায় ভালো। দ্বিতীয় অভিযোগের বাদী এবি সিদ্দিক জানান, আমরা সমাধানে যাবো। তবে তারা আমাদের প্রায় ১০০ শতাংশ জমি দখল নিয়ে আছে। জমি সংক্রান্ত একটা মামলা বর্তমানে হাই কোর্ট এ চলমান। তাই তাদের রায় ছাড়া কোন সমাধানে যাওয়া যাবে না। তাছাড়া বর্তমান কাজের জন্য আমরা উভয় পক্ষ বসে একটা সমাধানে যেতে পারি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মামলার বাদী খন্দকার এবি সিদ্দিক নিজেকে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য দাবী করছেন, যদিও এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলেন নাই।
5,121 total views, 2 views today