-চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম
মোঃ সরোয়ার হোসাইন লাভলু :
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীকে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা এবং বিশেষ কাজে আনন্দময় বিচারকাজে পরিবেশ সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা রাখছেন চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমি। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রত্যেকটা বিচারক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে মাস শেষে প্রণোদনা হিসেবে কাজের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন তিনি নিজে। টাকার অংকে এ পুরস্কার অনেকক্ষেত্রে নগণ্য হলেও এ পুরস্কার প্রদান করেন উনার নিজস্ব তহবিল থেকে। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীন সি আর কোট , পুলিশ কোর্ট , জুডিশিয়াল সেকশন এর প্রত্যেকটা কাজের তদারকি করছেন তিনি একা। চট্টগ্রামের মেয়ে তিনি, আছে পরিবার-পরিজন, কিন্তু সকাল য় অফিসে এসে বাসায় যান রাত নয়টায়, কখনোবা দশটায় , আবার কখনোবা আটটায়। একজন মহিলা বিচারক হিসেবে অনেক সময় পুরুষের চেয়েও বেশি কাজ করে এবং মামলা নিষ্পত্তিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। বিগত ২০২০ সালের করোনা মহামারী থেকে সারাদেশে যখন মামলাজট বাড়তে থাকে তখন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে এই মামলার জট কমতে থাকে। সারাদেশে উনার ম্যাজিস্ট্রেটসীতে সবচেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। কাজের উপর ভিত্তি প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটগণকে কাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক মাসে নিজস্ব তহবিল থেকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করে থাকেন। দেশের মহামারী করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সম্মুখে ডিসপ্লে বোর্ড এর মাধ্যমে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সচেতনতা মূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। মামলা নিষ্পত্তিতে উৎসাহিত করার জন্য যে সকল মামলা আপসে নিষ্পত্তি করেন সে সকল পক্ষ থেকে তিনি একটি করে চকলেট দিয়ে ভালবাসার বন্ধন আরো বাড়িয়ে দেন। এটি যেন চকলেট নয় পারিবারিক বন্ধন অটুট করার একটি বাহন। উনার আদালতে ছোট কোনো শিশু দেখলেই তিনি প্রত্যেকটি শিশুকে একটি করে চকলেট দেন, যেটা নজর কাড়ে আদালতে সকল আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের। এসব বিষয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার রুমীর সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান আমি আমার ম্যাজিস্ট্রেসিতে সবসময় স্বচ্ছ জবাবদিহিতা এবং গতিসম্পন্ন রাখতে এ সকল কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামা শাখার অনিয়মের কথা তুলে ধরলে তিনি সাথে সাথে নাজির এবং বেঞ্চ সহকারীকে ডেকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং হলফনামা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পুনঃবিন্যাস করার আদেশ প্রদান করেন।
550 total views, 2 views today
Leave a Reply